শুক্রবার | ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ৯:১৮
শিরোনাম :
নির্মাণ কাজের জন্য যে ৫টি গিয়ারস ব্যবহার করা জরুরী

নির্মাণ কাজের জন্য যে ৫টি গিয়ারস ব্যবহার করা জরুরী

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ায় যারা নির্মাণ কাজে অংশ নিচ্ছেন তাঁদের প্রতি দেশের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমই বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পেছনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তাঁদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু প্রায়ই পত্রপত্রিকায় নির্মাণ শ্রমিকদের অসাবধানতার কারনে অকাল মৃত্যু গোটা দেশবাসীকে শোঁকাহত করে। তাই নির্মাণ কাজের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি শ্রমিকের জীবনের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিম্নের ৫টি সেফটি গিয়ার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।

১. সেফটি হেলমেট( Safety Helmet) : মানবদেহে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে’র মাঝে “মাথা” অতি সংবেদনশীল একটি অংশ। দেহের অন্যান্য স্থানে আঘাত পেলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও, মাথায় গুরতর আঘাত পেলে অনেকসময় রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয়না। আর নির্মাণ কাজের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকদের মাঝে অনেকর সেফটি হেলমেট ব্যবহারে অনীহাই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার অন্যতম কারন। তাই নির্মাণ শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেফটি হেলমেট ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।

২. সেফটি গগলস (Safety Goggles): দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বুঝা যেমন জরুরী তেমনই চোখ থাকতে চোখের মূল্য বুঝাটা খুব জরুরী। নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের প্রায়শই ধুলোবালির সাথে যুদ্ধ করে কাজ করতে হয়। এতে ধূলিকণা চোখের ভিতর প্রবেশের ফলে চোখে ছানি পরা, চোখে কম দেখা, চোখে ব্যাথা, চোখ চুলকান ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়। আবার নির্মাণ কাজে গ্রাইন্ডিং মেশিন বা ঝালাই মেশিন/ওয়েল্ডিং মেশিন ব্যবহারের সময় আগুনের ফুলকি উড়তে দেখা যায়, যা চোখের ভিতর প্রবেশ করলে অন্ধ হয়ে যাবার মত ঝুঁকি রয়েছে। তাই চোখের নিরপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে আজই ব্যবহার করুন সেফটি গগলস।

৩. সেফটি গ্লাফস (Safety Gloves): যার হাত আছে, কাজ করে খাওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। কিন্তু অসাবধানতার কারনে অনেকসময় নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন বা অনেকক্ষেত্রে সারাজীবনের জন্য হাত কেটে ফেলতে হয়। তাই নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শমিকের উচিৎ হস্ত দিয়ে চালিত কোন যন্ত্র বা বিপদজনক কোন কাজ করার পূর্বে অবশ্যই সঠিক সেফটি গ্লাফস পরিধান করা।
আমাদের দেশে ৩০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার সেফটি গ্লাফস রয়েছে।

৪. সেফটি ভেস্ট (Safety Vest): সেফটি ভেস্ট রিফ্লেক্টিভ বস্তুর (পলিকটন বা পলিস্টার) সমন্বয়ে তৈরি যা নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক পাশপাশি জরুরী সেবায় নিয়োজিত কর্মী যেমন ঃ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পরিধান করে থাকেন। সেফটি ভেস্ট দিনে কিংবা রাতে উভয় সময়ের জন্যই পরিধান করা যায়। তবে রাতে কিংবা দিনে রাস্তা মেরামতের কাজে সেফটি ভেস্ট পরিধান করলে তা দূর থেকে যানবাহন চালকদের রাস্তায় কর্মরত কর্মীর উপস্থিতি জানিয়ে দেয় এবং অতি সতর্কতার সাথে চালককে গাড়ি চালাতে সাহায্য করে।

৫. সেফটি সু (Safety Shoe): নির্মাণ বা কন্সট্রাকশন এড়িয়ায় খালি পা বা সাধারন জুতা পরে হাটা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কারন কন্সট্রাকশন এড়িয়াগুলো ধারালো পেরেক, টিন, পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ ইত্যাদি দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে যাড় কারনে পা কেটে যাওয়া কিংবা পিছলে পরে হাত- পা ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে। সাধারন জুতা এই জাতীয় ঝুঁকিপূর্ণ বস্তুগুলো থেকে পা সুরক্ষিত রাখতে পারেনা। তাই নির্মাণ কাজে আপনার পাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে আজই ব্যবহার করুন সেফটি সু।

শেয়ার করুন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




আইটি সহায়তাঃ সাব্বির আইটি