শুক্রবার | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সন্ধ্যা ৬:২২
শিরোনাম :
প্রতিবছরের ন্যয় এবারও শুরু হচ্ছে প্লাস্টিক, প্রিন্টিং, প্যাকেজিং (IPF) মেলা। সাফিউস সামি আলমগীর জিতেছেন এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্লাস্টিক ধ্বংসের উপাদান প্রকৃতিতে পাওয়া গেল দূষণরোধে বান্দরবানে এবার প্লাস্টিক বোতলের নৌকা! বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে – বেঙ্গল ডিরেক্টর পরিবেশের সুরক্ষায় প্লাস্টিকপণ্য পুনঃব্যবহার বা রিসাইক্লিংয়ে জোর দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল মান নিয়ন্ত্রনে টেস্টিং মেশিন প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে: মুখ্য সচিব পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন আগুন লাগার কারণ ও সতর্কতা
আপনি কি প্যাকেজিং ব্যাবসা করতে চান?

আপনি কি প্যাকেজিং ব্যাবসা করতে চান?

খাবার, কসমেটিকস, ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য, গার্মেন্টস পণ্যসহ সব ধরনের পণ্য বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজন কার্টন বা কাগজের বাক্স। বাজারে এসব বাক্সে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। হাতে কিছু পুঁজি থাকলে আপনিও প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এমন একটি প্যাকেজিং কারখানা।
যেভাবে শুরু করবেন : প্যাকেজিং কারখানা করতে চাইলে এ সম্পর্কে কিছুটা পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। তা না থাকলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে হবে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে গেলে আপনি ফ্রি কনসালটেন্সি পাবেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘টোটাল প্যাক’ তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের অফিস গুলশান-১ ফোন ০১৮১৮২৫২২১২ । যেকোনো প্যাকেজিং বিষয়ে তাদের সাথে ফ্রিতে কনসালটেন্সি করতে পারবেন, তারা আপনাকে বিনামূল্যে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে একটি কারখানা তৈরি করতে চার থেকে পাঁচ কাঠা জায়গা হলেই চলবে। এরপর ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে, যেমন-ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার লাইসেন্স ইত্যাদি। আর কারখানার জন্য বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ (৪৪০ ভোল্ট) লাগবে। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের সময় উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য একটি জেনারেটর লাগবে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি : প্রাথমিকভাবে একটি কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির তালিকা :
১। হেনশিয়ার মেশিন (কাগজ কাটার জন্য)
২। কর্গেট বা করগেশন মেশিন (ভাঁজ করার জন্য)
৩। পেস্টিং মেশিন (গাম লাগানোর জন্য)
৪। প্রেশার মেশিন (চাপ দেয়ার জন্য)
৫। কিরিচ মেশিন (সাইজ করার জন্য)
৬। স্লোডিং মেশিন (বাক্সে আকার দেয়ার জন্য)
৭। ডাই কাটিং মেশিন (বাক্সের গায়ে ছিদ্র করার জন্য)
৮। স্টিচিং মেশিন (সেলাই করার জন্য)

নিয়োগ দিতে হবে শ্রমিক: প্যাকেজিং কারখানার প্রতিটি মেশিনের জন্য সাধারণত একজন মেশিনম্যান ও একজন হেলপার প্রয়োজন হয়। কিছু মেশিনে দু’জন হেলপার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে পুরো কারখানার জন্য ১৫ থেকে ১৮ জন কর্মীর প্রয়োজন হয়। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মেশিনম্যানদের মাসিক বেতন দিতে হবে।

কাঁচামাল সংগ্রহ : প্যাকেজিং কারখানার কাগজের বাক্স বানাতে দুই ধরনের কাগজের দরকার হয়-মিডিয়া পেপার ও লাইনার পেপার। মিডিয়া পেপার বাক্সে ভেতরের জন্য। মিডিয়া পেপারকে কর্গেট মেশিনের সাহায্যে ভাঁজ করে ওপরে লাইনার পেপার দেয়া হয়। কখনো কখনো মিডিয়া পেপারের দুই পাশেই লাইনার পেপার ব্যবহার করা হয়। লাইনার পেপার সাধারণত দুই ধরনের হয়। বাদামি লাইনার পেপার আর সাদা লাইনার পেপার। বাদামি রঙের বাক্সে জন্য বাদামি লাইনার পেপার আর সাদা বাক্সে জন্য সাদা লাইনার পেপার। প্রতি কেজি মিডিয়া পেপারের দাম ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, লাইনার পেপার ৩৯ থেকে ৪৩ টাকা। এ ছাড়া সিলিকেট গাম প্রতি কেজি ১৫-১৬ টাকা, আইকা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পিন ৯৪ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে।

লাভ কেমন : প্রাথমিকভাবে ছোট একটি কারখানায় দিনে পাঁচ হাজার কার্টন বা বাক্স তৈরি করা সম্ভব। একটি কার্টন তৈরি করতে কাগজ লাগে ২৩.৫০ টাকা, সিলিকেট গাম ও অন্যান্য ব্যয় ৪.৫০ টাকা। অর্থাৎ একটি বাক্সে মোট উৎপাদন ব্যয় ২৮ টাকা এবং বিক্রি ৩০ থেকে ৩২ টাকা। লাভ দুই থেকে চার টাকা। সপ্তাহে পাঁচ হাজার বাক্স তৈরি করলে লাভ থাকবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।

যাদের পুজি ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা, তারা Auto Packaging Machine দিয়ে ব্যবসায় আসতে পারেন। Auto Packaging Machine এ Quality ভালো হয়, ফলে গার্মেন্টস এর অর্ডার পাওয়া কিছুটা সহজ, তবে এতো বড় invest এ গেলে Bond licence ও Strong Marketing team খুব ই প্রয়োজন।

২ বিঘা জমিতে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই কারখানায় মাসে উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন





Translate Site »