বর্তমানে খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার ব্যাপক। তবে পলিপ্রোপিলিন (PP) এবং পলিথিন (PE) এর মধ্যে পার্থক্য এবং কোনটি বেশি টেকসই ও খাদ্যপ্যাকেজিংয়ের জন্য উপযোগী তা অনেকের কাছে অস্পষ্ট। এই প্রতিবেদনে আমরা দুই প্লাস্টিকের বৈশিষ্ট্য, টেকসইতা এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহারের দিকগুলো আলোচনা করব।
পলিপ্রোপিলিন (PP) কী?
পলিপ্রোপিলিন একটি শক্তিশালী, কঠিন এবং তাপ প্রতিরোধী প্লাস্টিক। এটি প্রায় ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে সক্ষম। উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীলতার কারণে পলিপ্রোপিলিন স্ন্যাকস, কনফেকশনারি এবং অন্যান্য হট ফুড প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়।
পলিথিন (PE) কী?
পলিথিন হলো একটি নমনীয়, পাতলা এবং প্রসারিত হওয়া সহজ প্লাস্টিক। এটি ফ্রিজে সংরক্ষিত খাদ্যপণ্যের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, কারণ এটি খুব কম তাপমাত্রাতেও স্থিতিশীল থাকে। সাধারণত প্যাকেট, ব্যাগ এবং খাদ্য ফিল্ম তৈরিতে পলিথিন ব্যবহৃত হয়।
টেকসইতা ও ব্যবহারে পার্থক্য
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত বিবেচনা
উভয় প্লাস্টিক যথাযথ ব্যবস্থাপনা না হলে পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পলিথিন সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী এবং ভাঙতে সময় নেয়। পলিপ্রোপিলিন যদিও কিছু ক্ষেত্রে রিসাইকেলযোগ্য, তবে খাদ্যের সাথে সরাসরি স্পর্শের ক্ষেত্রে নিরাপদ উপকরণ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বাজারে অবস্থা
বাংলাদেশে খাদ্যপ্যাকেজিং শিল্পে পলিপ্রোপিলিন ও পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপক। তবে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা এবং মান নিয়ন্ত্রণের অভাবে প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা দেখা দেয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় রিসাইক্লিং ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন।
পলিপ্রোপিলিন ও পলিথিন উভয়ই খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্যাকেজিংয়ের ধরন, তাপমাত্রা ও সংরক্ষণ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে সঠিক প্লাস্টিক নির্বাচন অত্যাবশ্যক। অধিক টেকসইতা ও তাপ প্রতিরোধের জন্য পলিপ্রোপিলিন ভালো, আর নমনীয়তা ও ঠান্ডা সংরক্ষণের জন্য পলিথিন উপযোগী।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন