শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বিকাল ৪:১৪
শিরোনাম :
প্লাস্টিক আবিষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেশের ৫ হাজার কারখানায় প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে! পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ইপিএস (আরনিং পার শেয়ার) বৃদ্ধি পেয়েছে DAH BAH ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং মেশিনারির সাথে কাজ করে যাচ্ছে প্লাস্টিক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক ভবিষ্যত প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং এবং প্যাকেজিং মেলা (IPF) প্রতিবছরের মতো এবারও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ম বারের মত ‘‘লিমরা’’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ লেদার এবং ফুটওয়্যার মেলা ২০২৪
আগুন লাগার কারণ ও সতর্কতা

আগুন লাগার কারণ ও সতর্কতা

আগুন লাগার প্রধান কারণ হলো অসাবধানতা এবং এর সাথে যুক্ত অজ্ঞতা। আগুন লাগার বড় উৎসগুলো মধ্যে রয়েছে জ্বলন্ত চুলা, সিগারেট, ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা, দাহ্য পদার্থ, ছেলেমেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা, রাসায়নিক বিক্রিয়া, মেশিনের ঘর্ষণ, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ, এবং সূর্যের রশ্মির প্রতিফলন।

সতর্কতা:

আগুন লাগা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গ্যাসের চুলা বা সিলিন্ডার থাকলে নিয়মিত চেক করা, রান্নার পর চুলা নিভানো, খোলা বাতির ব্যবহার পরিহার করা, এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার (যেমন শুকনো গুঁড়া, CO2, ফেনা, জল, ক্লিন এজেন্ট, আর্দ্র রাসায়নিক, অগ্নি নির্বাপক বল) রাখা জরুরি। এছাড়া, সেগুলো নিয়মিত চেক করতে হবে।

গ্যাস চুলা বা সিলিন্ডারের কাছে কাজ করা কর্মচারীদের নিয়মিত কাউন্সেলিং করতে হবে যাতে তারা সব সময় সতর্ক থাকে। বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো মাসে অন্তত একবার পরীক্ষা করতে হবে এবং পুরোনো সংযোগ পরিবর্তন করতে হবে। রাসায়নিক ও জ্বালানি পদার্থ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা বা নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রাখা, শিল্প-কারখানায় প্রচুর পানি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, প্রশিক্ষিত লোক রাখা, এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় প্রতি মাসে মহড়া আয়োজন করা উচিত। আগুন লাগলে বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া উচিত। শরীরে আগুন লাগলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে।

লোক অপসারণ পদ্ধতি:

আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার না করা, ছাদে না গিয়ে নিচে নামা, জরুরি নির্গমনের পথ ব্যবহার করা, ওপর থেকে লাফ না দেওয়া, নিরাপত্তাকর্মীদের টর্চ ব্যবহার করা, প্রথমে আক্রান্ত তলা থেকে নামানো, প্রতিবন্ধী, শিশু, সন্তানসম্ভবা নারী, বৃদ্ধ লোক ও মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

আগুনে পুড়ে গেলে করণীয়:

পোড়া ব্যক্তিকে এমনভাবে শুইয়ে দিতে হবে যাতে পোড়া অংশ খোলা থাকে এবং ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি দিয়ে পোড়া স্থান ঠান্ডা করতে হবে। ফুলে যাওয়ার আগে ঘড়ি, বেল্ট, আংটি, কাপড় খুলে ফেলতে হবে। কাপড় লেগে থাকলে টেনে না ছিঁড়ে কেটে সরাতে হবে। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে দিতে হবে। মুখে পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ঠান্ডা করতে হবে। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখ খোলা রাখতে হবে। শরীরের প্রয়োজনীয় পদার্থ বের হয়ে যাওয়ায় শকে গেলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগে নিজেদের চেষ্টা করতে হবে আগুন নেভানোর জন্য।

শেয়ার করুন





Translate Site »