শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বিকাল ৪:০৩
শিরোনাম :
প্লাস্টিক আবিষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেশের ৫ হাজার কারখানায় প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে! পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ইপিএস (আরনিং পার শেয়ার) বৃদ্ধি পেয়েছে DAH BAH ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং মেশিনারির সাথে কাজ করে যাচ্ছে প্লাস্টিক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক ভবিষ্যত প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং এবং প্যাকেজিং মেলা (IPF) প্রতিবছরের মতো এবারও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ম বারের মত ‘‘লিমরা’’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ লেদার এবং ফুটওয়্যার মেলা ২০২৪
বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক প্যাকেজিং পরিবেশবান্ধব

বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক প্যাকেজিং পরিবেশবান্ধব

বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রচলিত প্লাস্টিকের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। বর্তমানে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মাত্র ১৫ শতাংশ পুনঃব্যবহারযোগ্য, বাকি ৮৫ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার শেষে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয় এবং তা মাটির নিচে চাপা পড়ে দীর্ঘকাল অক্ষত থাকে। এই প্লাস্টিক মাটির অভ্যন্তরে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের মতো প্রয়োজনীয় গ্যাসের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, ফলে ফসল উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া, নালা-নর্দমা বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে এবং প্লাস্টিকের মোড়কে রাখা খাদ্যসামগ্রী খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও প্লাস্টিকের উত্পাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক একটি কার্যকর উপায় হতে পারে যা পরিবেশ ও অর্থনীতিকে টেকসই করবে। এই প্লাস্টিক পরিবেশের সঙ্গে সহজেই মিশে যাবে, ফলে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এর কারণে মাটি বা পানি দূষিত হবে না।
আধুনিক সমাজে টেকসই এবং সহজ জীবনযাপনের জন্য প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি, কারণ এটি সাশ্রয়ী। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো সহজ না হলেও, এর ব্যবহার বাড়িয়ে পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। তাই সচেতন হয়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং বায়ো-ডিগ্রেডেবল পণ্য ব্যবহার বাড়ানো দরকার।
বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক হলো বায়ো-প্লাস্টিকের সমন্বয়ে তৈরি, যা নবায়নযোগ্য কাঁচামাল থেকে তৈরি হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে পচে যায়। এই প্লাস্টিক অণুজীবগুলোর দ্বারা ভেঙে যায় এবং মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এটি সাধারণত প্রাকৃতিক উদ্ভিদসামগ্রী যেমন কর্ন, কমলার খোসা, স্টার্চ এবং গাছপালা থেকে তৈরি হয়। বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক তৈরির প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক ফিলার ব্যবহার করা হয় না, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এই প্লাস্টিক গলিয়ে বিভিন্ন আকারের পানির বোতল ও বাসন তৈরি করা হয়।
এই ধরনের প্লাস্টিক সাধারণত প্যাকেজিং, ক্রোকারি, কাটলেট এবং খাদ্য পরিষেবা পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিকের প্রধান সুবিধাগুলো হলো: জীবাশ্ম জ্বালানির পুনরুদ্ধারের সময় কোনো ক্ষতি হয় না, খুব কম গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ হয়, এবং উত্পাদনের জন্য কম শক্তি প্রয়োজন হয়। এছাড়া, এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে না।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলো উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত বস্তু যেমন বাঁশ ও তন্তু ব্যবহার করে বায়ো-প্লাস্টিকে পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে যা হবে সুলভ ও প্রয়োজনীয়। বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণা ও আধুনিক প্রযুক্তির ফলে বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে এবং আমরা সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারছি।

শেয়ার করুন





Translate Site »