শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বিকাল ৫:০৪
শিরোনাম :
প্লাস্টিক আবিষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেশের ৫ হাজার কারখানায় প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে! পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ইপিএস (আরনিং পার শেয়ার) বৃদ্ধি পেয়েছে DAH BAH ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং মেশিনারির সাথে কাজ করে যাচ্ছে প্লাস্টিক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক ভবিষ্যত প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্রিন্টিং এবং প্যাকেজিং মেলা (IPF) প্রতিবছরের মতো এবারও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ম বারের মত ‘‘লিমরা’’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ লেদার এবং ফুটওয়্যার মেলা ২০২৪
প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা

প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা

বিবরণ

প্লাস্টিক এমন একটি উপাদান যা সিন্থেটিক বা আধা-সিন্থেটিক জৈব যৌগ থেকে তৈরি হয়। এটি নমনীয় হওয়ার কারণে গলিয়ে বিভিন্ন কঠিন আকৃতির মধ্যে ঢালা সম্ভব। কম খরচ, সহজ উৎপাদন প্রক্রিয়া, বহুমুখী ব্যবহার এবং পানির প্রভাব সহ্য করার ক্ষমতার কারণে প্লাস্টিক কাগজের ক্লিপ থেকে শুরু করে মহাকাশযানের বিভিন্ন অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হয়।

ইতিহাস ১৮৫৫ সালে আলেকজান্ডার পার্কস পার্কেসাইন আবিষ্কার করেন এবং পরের বছর এর পেটেন্ট নেন। পার্কেসাইনকে প্রথম কৃত্রিম প্লাস্টিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

প্লাস্টিকের উপকারিতা নিয়ে কিছু তথ্য নিম্নরূপ:

  1. খরচ কম: প্লাস্টিক উৎপাদনের খরচ তুলনামূলকভাবে কম, যা এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন এবং ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এই কারণে, অনেক পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।
  2. সহজ উৎপাদনযোগ্যতা: প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তৈরি করা সহজ এবং দ্রুত। আধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্লাস্টিককে গলিয়ে বিভিন্ন আকৃতি দেয়া সম্ভব, যা অন্যান্য অনেক উপাদানের ক্ষেত্রে কঠিন।
  3. বহুমুখীতা: প্লাস্টিকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এটি কঠিন, নরম, নমনীয় বা শক্ত হতে পারে, যা বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরির জন্য উপযুক্ত।
  4. হালকা ওজন: প্লাস্টিক হালকা ওজনের হওয়ায় এটি বহন করা সহজ এবং বিভিন্ন প্রযোজনায় ব্যবহৃত হয় যেখানে ওজন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  5. জল নিরোধক: প্লাস্টিক জল নিরোধক, যা এটিকে এমন সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য করে যেখানে পানির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে, যেমন বোতল, খাদ্য সংরক্ষণ পাত্র, এবং পাইপ।
  6. দীর্ঘস্থায়ী: প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য সাধারণত টেকসই হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। এটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না এবং অনেক রকমের পরিবেশগত অবস্থায় টিকে থাকতে পারে।
  7. বিদ্যুৎ নিরোধক: প্লাস্টিক ভালো বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে কাজ করে, তাই এটি ইলেকট্রনিক্স এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  8. রিসাইক্লেবল: অনেক প্লাস্টিক উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য, যা পরিবেশগত প্রভাব কমাতে সহায়ক। এটি পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

প্লাস্টিকের এই সব উপকারিতা একত্রে এটিকে দৈনন্দিন জীবনের এক অত্যাবশ্যক উপাদানে পরিণত করেছে।

শেয়ার করুন





Translate Site »