রবিবার | ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ১২:৫৪
শিরোনাম :
BIP’র আগস্ট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন, নতুন কোর্সে নিবন্ধন শুরু বিআইপি আসছে রুয়েটে! Waitrose বাজারে আনলো সম্পূর্ণ রিসাইক্লেবল হ্যান্ডওয়াশ বোতল ঢাকায় গুলশান-বনানী লেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কর্মসূচি পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে ভোজ্যতেলে চাই মানসম্মত প্যাকেজিং পলিপ্রোপিলিন vs পলিথিন: কোনটি বেশি টেকসই এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে উপযোগী? গাছের বর্জ্য থেকে ১০০% রিসাইক্লযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করলো সুইডিশ কোম্পানি চীনা কোম্পানির বিনিয়োগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক প্যাকেজিং কারখানা Cambio Roasters বাজারে আনলো রিসাইক্লেবল অ্যালুমিনিয়াম কফি পড বিশ্বের প্রথম কাগজের বোতলে হ্যান্ডওয়াশ: পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা এনেছে SUPA Innovations
প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা

প্লাস্টিকের ইতিহাস ও উপকারিতা

বিবরণ

প্লাস্টিক এমন একটি উপাদান যা সিন্থেটিক বা আধা-সিন্থেটিক জৈব যৌগ থেকে তৈরি হয়। এটি নমনীয় হওয়ার কারণে গলিয়ে বিভিন্ন কঠিন আকৃতির মধ্যে ঢালা সম্ভব। কম খরচ, সহজ উৎপাদন প্রক্রিয়া, বহুমুখী ব্যবহার এবং পানির প্রভাব সহ্য করার ক্ষমতার কারণে প্লাস্টিক কাগজের ক্লিপ থেকে শুরু করে মহাকাশযানের বিভিন্ন অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হয়।

ইতিহাস ১৮৫৫ সালে আলেকজান্ডার পার্কস পার্কেসাইন আবিষ্কার করেন এবং পরের বছর এর পেটেন্ট নেন। পার্কেসাইনকে প্রথম কৃত্রিম প্লাস্টিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

প্লাস্টিকের উপকারিতা নিয়ে কিছু তথ্য নিম্নরূপ:

  1. খরচ কম: প্লাস্টিক উৎপাদনের খরচ তুলনামূলকভাবে কম, যা এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন এবং ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এই কারণে, অনেক পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।
  2. সহজ উৎপাদনযোগ্যতা: প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তৈরি করা সহজ এবং দ্রুত। আধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্লাস্টিককে গলিয়ে বিভিন্ন আকৃতি দেয়া সম্ভব, যা অন্যান্য অনেক উপাদানের ক্ষেত্রে কঠিন।
  3. বহুমুখীতা: প্লাস্টিকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এটি কঠিন, নরম, নমনীয় বা শক্ত হতে পারে, যা বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরির জন্য উপযুক্ত।
  4. হালকা ওজন: প্লাস্টিক হালকা ওজনের হওয়ায় এটি বহন করা সহজ এবং বিভিন্ন প্রযোজনায় ব্যবহৃত হয় যেখানে ওজন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  5. জল নিরোধক: প্লাস্টিক জল নিরোধক, যা এটিকে এমন সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য করে যেখানে পানির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে, যেমন বোতল, খাদ্য সংরক্ষণ পাত্র, এবং পাইপ।
  6. দীর্ঘস্থায়ী: প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য সাধারণত টেকসই হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। এটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না এবং অনেক রকমের পরিবেশগত অবস্থায় টিকে থাকতে পারে।
  7. বিদ্যুৎ নিরোধক: প্লাস্টিক ভালো বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে কাজ করে, তাই এটি ইলেকট্রনিক্স এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  8. রিসাইক্লেবল: অনেক প্লাস্টিক উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য, যা পরিবেশগত প্রভাব কমাতে সহায়ক। এটি পরিবেশের উপর প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

প্লাস্টিকের এই সব উপকারিতা একত্রে এটিকে দৈনন্দিন জীবনের এক অত্যাবশ্যক উপাদানে পরিণত করেছে।

শেয়ার করুন





Translate Site »