শুক্রবার | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৯:৩৩
শিরোনাম :
প্রতিবছরের ন্যয় এবারও শুরু হচ্ছে প্লাস্টিক, প্রিন্টিং, প্যাকেজিং (IPF) মেলা। সাফিউস সামি আলমগীর জিতেছেন এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্লাস্টিক ধ্বংসের উপাদান প্রকৃতিতে পাওয়া গেল দূষণরোধে বান্দরবানে এবার প্লাস্টিক বোতলের নৌকা! বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে – বেঙ্গল ডিরেক্টর পরিবেশের সুরক্ষায় প্লাস্টিকপণ্য পুনঃব্যবহার বা রিসাইক্লিংয়ে জোর দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল মান নিয়ন্ত্রনে টেস্টিং মেশিন প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে: মুখ্য সচিব পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন আগুন লাগার কারণ ও সতর্কতা
বাংলাদেশ কি প্যাকেজিং শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ?

বাংলাদেশ কি প্যাকেজিং শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ?

বাংলাদেশ প্যাকেজিং শিল্পে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং ওষুধ থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যের আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং এখন দেশেই হচ্ছে। রপ্তানি বাণিজ্যেও রাখছে পরোক্ষ অবদান।
যেকোন পণ্য বাজারজাতের পূর্বশর্ত মানসম্পন্ন প্যাকেজিং। বাংলাদেশ ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, দেশের অভ্যান্তরীণ বাজারে প্রতি মাসে ৬ হাজার ৫০০ টন প্যাকেজিং পণ্যের চাহিদা রয়েছে। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। দেশের শ’ খানেক কারখানা এ চাহিদা পূরণ করছে। অন্যদিকে, রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক শিল্পকে ঘিড়ে গড়ে উঠেছে আরও সাড়ে ছয়শো প্যাকেজিং কারখানা।
এসব কারখানায় কর্মরতরা বলছেন, প্যাকেজিংয়ের কাজ প্রায় পুরোটাই অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর। আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং সামগ্রী এখন তারা দেশেই তৈরি করছেন।
কারখানার কর্মীরা বলছেন, “ফুড প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে খাবারের গুণাগুন ঠিক রেখে প্যাকেজিং এর সৌন্দর্য্য বাড়ানো হয়।“
আরেক কর্মী জানান, “একেক খাবার কিন্তু একেক রকম, এজন্য গুণাগুন ঠিক রাখতে বিন্নি পদক্ষেপ নিতে হয়।“
এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের প্যাকেজিংয়ের চাহিদার প্রায় শতভাগই তারা পূরণ করছেন।
বাংলাদেশ ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি সাফিউস সামী আলমগীর জানান, “প্যাকেজিং অনেক বড় একটি শিল্প, বড় একটি সেক্টর, যেখানে টেকনলজিক্যালি অনেক বড় সাপোর্ট দরকার। যেগুলোর জন্য বাংলাদেশ এখন সয়ংসম্পূর্ণ।“
এদিকে, তৈরি পোশাক-সহ প্রায় সব ধরনের রপ্তানি পণ্যের সাথে থাকছে প্যাকেজিং সামগ্রীও। এতে রপ্তানি আয়ে এখাতের অবদানও কম নয়। কিন্তু রপ্তানি বাণিজ্যে প্যাকেজিং এখনো আলাদা খাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। এতে প্রণোদনা বঞ্চিত হচ্ছেন এখাতের উদ্যোক্তারা। যা যাচ্ছে পণ্য রপ্তানিকারকদের পকেটে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি জানান, “আমরা গার্মেন্টস এর মাধ্যমে রপ্তানি করছি সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ গার্মেন্টস যা রপ্তানি করছে তার ১৫শতাংশ আমাদের শেয়ার। এটাকে ব্যাকওয়ার্ড না বলে, আমরা সরাসরি রপ্তানিকারক একটা সেক্টর হিসাবে আমি ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো।“
পণ্যের সাথে যুক্ত হয়ে পরোক্ষভাবে কত ডলারের প্যাকেজিং সামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই কারো কাছেই। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এর পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
এসবি/

শেয়ার করুন





Translate Site »