শুক্রবার | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ১১:৪৫
শিরোনাম :
ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে 8th Agro Bangladesh International Expo 2025 চালু হলো বিশ্বের প্রথম AI প্রযুক্তিনির্ভর কফি কাপ রিসাইক্লিং ব্যবস্থা চিপসের বড় প্যাকেট নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করলেন প্যাকেজিং বিশেষজ্ঞ জনাব আব্দুল হাকিম রোল টু পাউচ: প্লাস্টিক শিট থেকে চমৎকার প্যাকেট তৈরির জা BRAC Printing Pack Enterprise-এ প্রোডাকশন ম্যানেজার পদে নিয়োগ খাবারের শত্রু অক্সিজেন: কোন প্যাকেট দিচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী সুরক্ষা? টঙ্গীতে প্লাস্টিক গুদামে আগুন, সড়কে যান চলাচল বন্ধ এক্সনমোবিল ও মালপ্যাকের যৌথ উদ্যোগে উচ্চ টেনাসিটি প্রি-স্ট্রেচ ফিল্ম উদ্ভাব Multi-layer Film – আধুনিক প্যাকেজিংয়ের অন্যতম ভবিষ্যত ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক প্যাকেজিং: নিরাপত্তার নতুন গণ্ডি
প্লাস্টিকের বিনিময়ে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য: চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্লাস্টিকের বিনিময়ে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য: চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

চট্টগ্রামে এক অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ‘ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ নামের এই কার্যক্রমের আওতায়, ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিলেই মিলছে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন তেল, ছোলা, চিনি ও খেজুর।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগের লক্ষ্য

এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাধারণ মানুষকে প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সচেতন করা এবং জলাবদ্ধতা কমানো। ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের উদ্যোগটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।

সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলেন, “মানুষ যাতে প্লাস্টিক যথাযথভাবে ফেলে, সে জন্য আমরা এই এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করেছি। এতে মানুষ প্লাস্টিক জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাবে, যা পরিবেশের জন্যও উপকারী।”

এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এক অংশগ্রহণকারী জানান, “আমি সারাদিন প্লাস্টিক সংগ্রহ করে এখানে এনেছি, আর এর বিনিময়ে ৯-১০টি ডিম পেয়েছি। এটি খুব ভালো একটি ব্যবস্থা।”

অনেকেই মনে করছেন, এভাবে প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে রাস্তা ও নালা পরিষ্কার থাকবে, জলাবদ্ধতাও কমবে।

সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “শহরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করতে হলে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য কমানো জরুরি। এসব বর্জ্য যথাযথভাবে ডাস্টবিনে ফেলার পরিবর্তে যত্রতত্র ফেলায় নালা-ড্রেন বন্ধ হয়ে যায় এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই আমরা চাই চট্টগ্রামকে প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত শহরে পরিণত করতে।”

সিটি কর্পোরেশন এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করছে এবং শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এই কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রামের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ এলাকায় পরিচালিত হবে।

পরবর্তীতে, চকবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র, যেখানে তিনি জনগণকে পরিচ্ছন্ন নগরী গঠনে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও বিশেষ সুবিধা এনে দিয়েছে, যা সবার জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা বহন করে।

শেয়ার করুন





Translate Site »