রবিবার | ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ১০:০৫
শিরোনাম :
BIP’র আগস্ট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন, নতুন কোর্সে নিবন্ধন শুরু বিআইপি আসছে রুয়েটে! Waitrose বাজারে আনলো সম্পূর্ণ রিসাইক্লেবল হ্যান্ডওয়াশ বোতল ঢাকায় গুলশান-বনানী লেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কর্মসূচি পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে ভোজ্যতেলে চাই মানসম্মত প্যাকেজিং পলিপ্রোপিলিন vs পলিথিন: কোনটি বেশি টেকসই এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে উপযোগী? গাছের বর্জ্য থেকে ১০০% রিসাইক্লযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করলো সুইডিশ কোম্পানি চীনা কোম্পানির বিনিয়োগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক প্যাকেজিং কারখানা Cambio Roasters বাজারে আনলো রিসাইক্লেবল অ্যালুমিনিয়াম কফি পড বিশ্বের প্রথম কাগজের বোতলে হ্যান্ডওয়াশ: পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা এনেছে SUPA Innovations
প্লাস্টিকের বিনিময়ে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য: চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্লাস্টিকের বিনিময়ে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য: চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

চট্টগ্রামে এক অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ‘ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ নামের এই কার্যক্রমের আওতায়, ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিলেই মিলছে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন তেল, ছোলা, চিনি ও খেজুর।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগের লক্ষ্য

এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাধারণ মানুষকে প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সচেতন করা এবং জলাবদ্ধতা কমানো। ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের উদ্যোগটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।

সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলেন, “মানুষ যাতে প্লাস্টিক যথাযথভাবে ফেলে, সে জন্য আমরা এই এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করেছি। এতে মানুষ প্লাস্টিক জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাবে, যা পরিবেশের জন্যও উপকারী।”

এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এক অংশগ্রহণকারী জানান, “আমি সারাদিন প্লাস্টিক সংগ্রহ করে এখানে এনেছি, আর এর বিনিময়ে ৯-১০টি ডিম পেয়েছি। এটি খুব ভালো একটি ব্যবস্থা।”

অনেকেই মনে করছেন, এভাবে প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে রাস্তা ও নালা পরিষ্কার থাকবে, জলাবদ্ধতাও কমবে।

সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “শহরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করতে হলে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য কমানো জরুরি। এসব বর্জ্য যথাযথভাবে ডাস্টবিনে ফেলার পরিবর্তে যত্রতত্র ফেলায় নালা-ড্রেন বন্ধ হয়ে যায় এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই আমরা চাই চট্টগ্রামকে প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত শহরে পরিণত করতে।”

সিটি কর্পোরেশন এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করছে এবং শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এই কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রামের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ এলাকায় পরিচালিত হবে।

পরবর্তীতে, চকবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র, যেখানে তিনি জনগণকে পরিচ্ছন্ন নগরী গঠনে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও বিশেষ সুবিধা এনে দিয়েছে, যা সবার জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা বহন করে।

শেয়ার করুন





Translate Site »