বৃহস্পতিবার | ২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৩৭
শিরোনাম :
Waitrose বাজারে আনলো সম্পূর্ণ রিসাইক্লেবল হ্যান্ডওয়াশ বোতল ঢাকায় গুলশান-বনানী লেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কর্মসূচি পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে ভোজ্যতেলে চাই মানসম্মত প্যাকেজিং পলিপ্রোপিলিন vs পলিথিন: কোনটি বেশি টেকসই এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে উপযোগী? গাছের বর্জ্য থেকে ১০০% রিসাইক্লযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করলো সুইডিশ কোম্পানি চীনা কোম্পানির বিনিয়োগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক প্যাকেজিং কারখানা Cambio Roasters বাজারে আনলো রিসাইক্লেবল অ্যালুমিনিয়াম কফি পড বিশ্বের প্রথম কাগজের বোতলে হ্যান্ডওয়াশ: পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা এনেছে SUPA Innovations 8th Agro Bangladesh International Expo 2025- এ Total Business Group এর সফল অংশগ্রহণ ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে 8th Agro Bangladesh International Expo 2025
ফেলে দেওয়া বোতল থেকে প্লাস্টিকের মাদুর, রপ্তানি হচ্ছে বিশ্ববাজারে

ফেলে দেওয়া বোতল থেকে প্লাস্টিকের মাদুর, রপ্তানি হচ্ছে বিশ্ববাজারে

বগুড়ার আমদিঘির মাদুর: বিশ্ববাজারে খ্যাতি সম্ভাবনা

বগুড়ার আমদিঘির মাদুর বিশ্ববাজারে সুপরিচিত। নিপুণ হাতে তৈরি এই মাদুর শিল্প শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। প্রচার-প্রচারণা বা সরকারি-বেসরকারি সাহায্য ছাড়াই এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে, যা এলাকার অনেক মানুষকে দরিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছে।

উপজেলার শান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি ও ঢেকরা গ্রামে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মাদুর তৈরির সঙ্গে জড়িত। এ শিল্পের প্রসার দেখে পার্শ্ববর্তী বদলা, কাসিমপুর, কেল্লাপাড়া, ত্রিমোহনী এবং রানীনগর এলাকার শ্রমিকরাও এই পেশা গ্রহণ করেছেন। মাদুর তৈরির প্রধান উপকরণ হলো প্লাস্টিকের পাইপ, যা পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে প্রস্তুত করা হয়। কম খরচে অধিক উৎপাদন হওয়ায় এই শিল্পে যন্ত্রপাতির ঝুঁকি কম এবং সহজেই মাদুর তৈরি করা সম্ভব।

মাদুর তৈরির প্রক্রিয়া

একটি মাদুর তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগে এবং মাত্র দুইজন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

১. প্রথমে ভাঙারি বোতল, প্লাস্টিক ও বিভিন্ন প্লাস্টিকজাত সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়। 2. সেগুলো কাটার মেশিনে কুচি করা হয়, যা পরবর্তী কারখানায় পাঠানো হয়। 3. সেখানে প্লাস্টিকের কুচিগুলো গলিয়ে পাইপ তৈরি করা হয়। 4. পাইপ থেকে বিভিন্ন ডিজাইনের মাদুর বোনা হয়।

বাজার দর ব্যবসার সুযোগ

মাদুরের দাম উচ্চতা ও মান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সাধারণত-

  • দেড় হাতি মাদুর: ৪০-৫০ টাকা
  • চার হাতি মাদুর: ৭০-৮০ টাকা
  • ছয় হাতি মাদুর: ১০০-১২০ টাকা

প্লাস্টিকের পাইপের পাইকারি মূল্য প্রতি গজ ২০ টাকা। একটি তিন-চার হাত লম্বা প্লাস্টিক মাদুর ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়, যা নকশার উপর ভিত্তি করে ১০০ টাকাতেও পৌঁছাতে পারে। তৈরিতে খরচ হয় ৫০-৭০ টাকা।

মাত্র ১০,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে যে কেউ এই ব্যবসা শুরু করতে পারে।

  1. ভাঙারি প্লাস্টিক ও বোতল সংগ্রহ করতে হবে।
  2. স্থানীয় বা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা যাবে।
  3. সংগৃহীত প্লাস্টিক কারখানায় পাঠিয়ে পাইপ ও মাদুর তৈরি করা সম্ভব।

বৈদেশিক রপ্তানি উন্নয়নের সম্ভাবনা

বগুড়ার মাদুর ভারত, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মিশর, ইরান ও ইরাকে রপ্তানি হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হলে এই শিল্প আরও ব্যাপকভাবে বিকশিত হতে পারে।

এই শিল্পের উন্নয়ন শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নয়, বরং পরিবেশবান্ধব পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের কার্যকর ব্যবহারকেও নিশ্চিত করবে।

 

শেয়ার করুন





Translate Site »