বৃহস্পতিবার | ২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | রাত ১১:১৬
শিরোনাম :
Waitrose বাজারে আনলো সম্পূর্ণ রিসাইক্লেবল হ্যান্ডওয়াশ বোতল ঢাকায় গুলশান-বনানী লেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কর্মসূচি পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে ভোজ্যতেলে চাই মানসম্মত প্যাকেজিং পলিপ্রোপিলিন vs পলিথিন: কোনটি বেশি টেকসই এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে উপযোগী? গাছের বর্জ্য থেকে ১০০% রিসাইক্লযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করলো সুইডিশ কোম্পানি চীনা কোম্পানির বিনিয়োগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক প্যাকেজিং কারখানা Cambio Roasters বাজারে আনলো রিসাইক্লেবল অ্যালুমিনিয়াম কফি পড বিশ্বের প্রথম কাগজের বোতলে হ্যান্ডওয়াশ: পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা এনেছে SUPA Innovations 8th Agro Bangladesh International Expo 2025- এ Total Business Group এর সফল অংশগ্রহণ ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে 8th Agro Bangladesh International Expo 2025
সরকারের প্লাস্টিক খাতে ১৫% বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য

সরকারের প্লাস্টিক খাতে ১৫% বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য

প্লাস্টিক শিল্প খাত দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই ১৫ শতাংশ হারে সরকার বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে । প্রণীত প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালায় ২০২৩ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় পাঁচ বছর মেয়াদি এ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে যা ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করে। সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সেলিম উল্লাহ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সম্প্রতি এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এই নীতিমালায় বাজার সম্প্রসারণে বড় লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে প্লাস্টিক শিল্পে। ঐ নীতিমালার তথ্য মতে বাংলাদেশের বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের বাজার প্রায় ২৯ লক্ষ্য ৯০ হাজার ডলার। তার মধ্যে ১৬.৬ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং বাকি ৮৩.৪ শতাংশ দেশীয়। ২০২৮ সালের ভেতর প্যাকেজিং ও প্লাস্টিক শিল্পের বাজার ১০ বিলিয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই নীতিমালা অনুসারে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের উন্নয়নে নীতিসহায়তা দিতে একটি পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৯টি কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে ঐ পরিকল্পনায় । এতে আন্তর্জাতিক বাজারে অভিক্রম বৃদ্ধিতে অত্যাধুনিক প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সক্ষমতা বাড়ানো, নিকটবর্তী স্থানে শিল্পগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি, রফতানি বর্ধিতকরণে কমপ্লায়েন্স বাড়ানো এবং দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিজের দেশীয় শিল্পগুলোর জন্য যথেষ্ট আর্থিক সহায্যের নিশ্চিতে প্লাস্টিক খাতের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলোকে অল্পসুদে বিশেষ করে তহবিল খরচের সঙ্গে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
নীতিমালায় উল্যেখ করা হয়েছে, উপজাত থেকে চূড়ান্ত পণ্য, নতুন পণ্য, পানি ও জ্বালানির কার্যকর এবং নিপুণ ভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ঐ উৎপাদনকারী শিল্পকে কর অব্যাহতি এবং কুটির ও ক্ষুদ্র প্লাস্টিক শিল্পকে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হবে।
এ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে এবং বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত জাতির স্বীকৃতির অর্জন করবে। ২০২১ সালে এই খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয় । এ নীতিমালার ওপর প্রায় দুই বছর পর স্টেকহোল্ডারদের মতের ভিত্তিতে চলতি বছরের জুনে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন





Translate Site »