বৃহস্পতিবার | ২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৮:৫৩
শিরোনাম :
Waitrose বাজারে আনলো সম্পূর্ণ রিসাইক্লেবল হ্যান্ডওয়াশ বোতল ঢাকায় গুলশান-বনানী লেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কর্মসূচি পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে ভোজ্যতেলে চাই মানসম্মত প্যাকেজিং পলিপ্রোপিলিন vs পলিথিন: কোনটি বেশি টেকসই এবং খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে উপযোগী? গাছের বর্জ্য থেকে ১০০% রিসাইক্লযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করলো সুইডিশ কোম্পানি চীনা কোম্পানির বিনিয়োগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক প্যাকেজিং কারখানা Cambio Roasters বাজারে আনলো রিসাইক্লেবল অ্যালুমিনিয়াম কফি পড বিশ্বের প্রথম কাগজের বোতলে হ্যান্ডওয়াশ: পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা এনেছে SUPA Innovations 8th Agro Bangladesh International Expo 2025- এ Total Business Group এর সফল অংশগ্রহণ ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে 8th Agro Bangladesh International Expo 2025
খাদ্যপণ্য মোড়কজাতের নানা অনিয়ম, পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশ

খাদ্যপণ্য মোড়কজাতের নানা অনিয়ম, পর্যবেক্ষণ এবং সুপারিশ

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য মোড়কজাতের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা। পণ্যের মোড়কে কী কী তথ্য থাকা উচিত, কীভাবে সেগুলি লেখা হবে এবং কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাস্তবে এসব বিধিমালা অনেক ক্ষেত্রেই অনুসৃত হচ্ছে না। সম্প্রতি সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স (CLPA) প্যাকেজিং এবং লেবেলিং সম্পর্কিত গবেষণার মাধ্যমে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এবং চিপসের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকা সত্ত্বেও তা উল্লেখ করা হচ্ছে না। এমনকি এসব পণ্যের প্যাকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা মোটিভেশনাল বা প্ররোণামূলক শব্দ, যা স্বাস্থ্যগতভাবে বিপজ্জনক।

মার্কেটিং বিষয়ক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ দোকানে চিপস এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়ের বিজ্ঞাপন রয়েছে, যা শিশুদের এবং তরুণদের প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া, প্রায় ৭০% দোকানি অতিরিক্ত বিক্রির জন্য কমিশন পান, ৫২% দোকানি ব্র্যান্ডগুলোর দেওয়া ফ্রিজ এবং ৩৬% দোকানি সাইনবোর্ড গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স (CLPA) যৌথভাবে গতকাল একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে পণ্যের মোড়কজাতের তথ্যের অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, অতিরিক্ত চিনি, লবন এবং ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সরকারের এসডিজি লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এসব রোগজনিত মৃত্যু ৩০% কমানো লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই পণ্যের ফ্রন্ট প্যাকেটে চিনি, লবন এবং ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বাস করেন, এটি অসংক্রামক রোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, পণ্যের মোড়কে চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ সঠিকভাবে উল্লেখ করার জন্য একটি সুস্পষ্ট এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা কেও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন বক্তারা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শিব্বির আহমেদ ওসমানী জানান, সরকার মোড়কজাত খাদ্যপণ্যে এসব তথ্য যুক্ত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোয়েব বলেন, যদিও মোড়কজাতের জন্য নিয়ম রয়েছে, অনেক ব্যবসায়ী তা যথাযথভাবে অনুসরণ করছেন না।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ফ্রন্ট প্যাকেটে লেবেলিং নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।খাদ্যপণ্যের মোড়কে সঠিক এবং সুস্পষ্ট তথ্য প্রদর্শন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

শেয়ার করুন





Translate Site »