আজ ২৮ মে, বিশ্ব পুষ্টি দিবস। এই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য—সাধারণ মানুষের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি ঘিরে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ভোজ্যতেলে এ ভিটামিন যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে সঠিক মানের প্যাকেজিংয়ের অভাব এবং নন-ফুডগ্রেড কেমিক্যালে তেল সংরক্ষণের কারণে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব হতে পারে রাতকানা, গর্ভকালীন জটিলতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) জানায়, বাজারে যেসব বোতলে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই স্বচ্ছ। এই বোতলগুলো সূর্যের আলো বা ঘরের সাধারণ আলোর সংস্পর্শে এলে তেলের ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।
আইসিডিডিআর,বি-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, খোলা অবস্থায় ড্রামে বিক্রি হওয়া ৫৯ শতাংশ তেলের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর উপস্থিতি নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞার লার্জ-স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন প্রজেক্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—তেলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে আলো প্রতিরোধী অস্বচ্ছ প্যাকেজিং ব্যবহার আবশ্যক। যেমন: পাউচপ্যাক, লেমিনেটেড পিইটি বোতল, এইচডিপিই জার কিংবা ইউভি প্রতিরোধী বোতল।
এই ধরনের প্যাকেজিং তেলকে বাইরের আলো, বিশেষ করে ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘসময় ধরে তেলের ভিটামিন ‘এ’ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অক্ষত রাখে।
বিশ্ব পুষ্টি দিবস উপলক্ষে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন,
ভোজ্যতেলের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে অস্বচ্ছ ও আলো প্রতিরোধী প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা দরকার। একইসঙ্গে, অস্বাস্থ্যকর ড্রামে খোলা তেল বাজারজাত বন্ধে সরকারি নির্দেশনা দ্রুত কার্যকর করা জরুরি।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন